ইকমার্স একটি নতুন ব্যাবসা আইডিয়া।
শুরু করার আগে, আমি আসলে আমাদের প্রযুক্তি সম্পর্কে কিছু আইডিয়া দিব।
ওয়েব ওয়ানঃ
ওয়েব ওয়ান মুলত ১৯৯১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত একটি স্ট্যাটিক টেকনোলোজি, যা ভিজিটর কে স্ট্যাটিক কনটেন্ট দিত।
ব্রাউজার এইচ টি টি পি রিকোয়েস্ট পাওয়ার পর এই সবল ওয়েবসাইট এইচ টি টি পি প্রোটোকলে যে সকল ডাটা দিবে তা আগে ওয়েবসাইটে ষ্টোর করা থাকে।
ওয়েব ওয়ানের ইকমার্স ওয়েবসাইট গুলো গ্রাহকের সাথে ইন্টার্যাকশন ছিল ওয়েবের বাইরে। বাংলাদেশের ইকমার্স প্লাটফর্ম চালডাল ডট কম ওয়েব ওয়ান এর অপারেশনের মত করে শুরু করেছিল।
ওয়েব ওয়ান মূলত ছিল এইচ টি এম এল, সি এস এস এবং জাভাস্ক্রিপট দিয়ে তৈরি করা প্লাটফর্ম যা গ্রাহকের সাথে এক্মুখি যোগাযোগ মাধ্যম।
ওয়েব ওয়ানের ইকমার্স গুলো মূলত স্ট্যাটিক প্লাটফর্ম। আমরা উদাহরন হসেবে বলতে পারি চালডাল যখন তাদের যাত্রা শুরু করে। তখন একটি স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটে প্রোডাক্টের ছবি দাম ডিটেইলস দেয়া ছিল এবং ওয়েবসাইটে একটি নাম্বার দেয়া ছিল যাতে কাস্টোমাররা ফোন করে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য অর্ডার করতে পারে, এবং গ্রাহকরা এভাবের প্রোডাক্ট অর্ডার করতো এবং কাস্টোমার কেয়ারও ছিল একই চ্যানেলে।
ওয়েব টুঃ
ওয়েব টু একটি রেভুলেশনারি আবিষ্কার যা আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতাই বদলে দিয়েছে। আমরা এখন ওয়েব টু তে আছি। ওয়েব টু তে একটি বিশেষ সুবিধা এসেছে তা হল গ্রাহকের সাথে ইন্টার্যাকশন। ওয়েব টু তে গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ একধাপ এগিয়ে গেছে। ওয়েব টু এর কারনে আজ আমরা বুঝতে পেরেছি গাহকরা নিজেরাই নিজেদের কন্ট্যান্ট ডেভেলাপ করেছে। ডাটা সাইন্স এক নতুন রুপ পেয়েছে।
কারগরি দিক দিয়ে ওয়েব আর ওয়েব ২.০ এর মধ্যে কোনই পার্থক্য নেই। পার্থক্য আছে ব্যবহার এবং উপযোগিতায়।
২০০৪ সালে ওয়েব টু ব্যবহার সবার কাছে এক নতুন আইডিয়া নিয়ে উপস্থিত হয়। যদিও ওয়েব টু ১৯৯৯ সালে প্রথম ব্যবহার শুরু হয়।
ওয়েব টু এর কারনে অনেক নতুন নতুন ব্যাবসা এবং প্লাটফর্ম এর দেখা পাই আমরা যেমন ইউটিউব, ফেসবুক, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস।
ওয়েব টু এর সুবিধাতে আমাদের গ্রাহককে আরো জানা সম্ভব হয়েছে, প্লাটফর্ম যেন জিবন্ত হয়ে আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।
ওয়েব টু তে ইকমার্স ব্যাবসা এক নতুন রুপ পায়। ইকমার্স কোম্পানি গুলো গ্রাহক কে নিজে নিজে ব্যবহারের সুবিধা দিয়েছে। যেমন ওয়েব টু এর কারনে গ্রাহকের একটি প্রফাইল, এবং ডায়নামিক ওয়েবসাইট এর আসল টেষ্ট গ্রাহক কে দেয়া সম্ভব হয়েছে। দারাজ প্রথম থেকেই ওয়েব টু নিয়ে তাদের ব্যাবসা শুরু করেছে। ডায়নামিক পেজ ওয়েব সাইটের লোড অনেক কমিয়ে দিয়েছে।
ওয়েব থ্রিঃ
ওয়েব থ্রি একটি ভিন্ন আইডিয়া। ব্লকচেইন ডি-সেন্ট্রালাইজ ডাটা সোর্স আরো সিকিউর যার সিকিউরিটি ব্রেক করা প্রায় অসম্ভব। ব্লক চেইন নিয়ে অন্য এক পোষ্টে লিখবো। এই মুহুর্তে অয়েব থ্রি সম্পর্কে জেনে রাখুন এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা কিনা পৃথিবী বদলে দেবে। যারা আজ টেক জায়েন্ট এবং ডাটা সিকিউরিটি নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য এই প্রযুক্তি নতুন এক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে।
ইকমার্স ব্যাবসা শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে শুরু করতে হবে ৪ টি পি দিয়ে।
প্রোডাক্টঃ আপনি কি প্রোডাক্ট বা সেবা বিক্রি করতে চান?
প্রাইজঃ আপনার প্রোডাক্ট এর দাম কেমন হবে, আপনার ভাল কত হবে কেমন হবে এইসব থাকবে।
প্লেসঃ কোথায় ব্যাবসা করতে চান?
প্রোমোশনঃ আপনার ব্যাবসার প্রচার কিভাবে করবেন?
ইকমার্স ব্যাবসার আগে ভাবুন সময় নিন। আপনার বিজনেস আইডিয়া আপনার ব্যাবসার ফাউন্ডেশন, আপনার বিজনের অপারেশন প্লান আপনার বিজনেসের খুটি আর আপনি হচ্ছেন আপনার ব্যাবসার ঈশ্বর।
No comments:
Post a Comment